হত্যা মামলায় জামিন আবেদন নামুঞ্জুর, কারাগারে হানিফ

হত্যা মামলায় জামিন আবেদন নামুঞ্জুর, কারাগারে হানিফ

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ হত্যা মামলায় হানিফ উদ্দিন শাহ্ নামে এক আসামীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। হানিফ উদ্দিন শাহ্ ৬ নং মৈনম ইউনিয়নের মৈনম (শাহ্পাড়া) গ্রামের মৃত আছির উদ্দিন শাহ্ এর ছেলে এবং একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার দুপুরে হত্যা মামলায় নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এ আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করেন তিনি। শুনানী শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক সাইফুল ইসলাম । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিবাদী পক্ষের এ্যাডভোকেট খোদাদ খান পিটু।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের জুন মাসের ৩ তারিখ রাত সোয়া ৮ টার দিকে ৬ নং মৈনম ইউনিয়নের মৈনম গ্রামের সোলায়মান আলী (৬৫) নামে এক ব্যাক্তি তাদের বাড়ির পশ্চিম পাশের্^ শাহপাড়ার একটি মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় জনৈক আমিনের পুকুরের উত্তরে হেয়ারিংবন্ড রাস্তায় পৌঁছালে অতর্কিতভাবে হামলার শিকার হন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই ঘটনায় নিহত সোলায়মান আলীর ছেলে ইউ’পি সদস্য মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে মৈনম মোল্লা পাড়ার তাইজুল ইসলামের কামরুজ্জামান (৩৩) ও জুয়েল হোসেন (৩১), মৃত অনুপা সরদারের ছেলে তাইজুল ইসলাম (৬০), মংলা মোল্লা’র ছেলে রেজাউল করিম (৪১) ও আব্দুল আলিম ওরফে ভুট্টু(৪৬) সহ মোট ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মান্দা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং জি.আর ২৩১/১৯ (মান্দা)। এদের মধ্যে তাইজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন সত্যতা না পাওয়ায় তাকে অত্র মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন জানানো হয়। পরবর্তীতে এজাহার বহির্ভূত পিবিআইয়ের তদন্তে প্রাপ্ত আসামী ৬ নং মৈনম ইউনিয়নের মৈনম (শাহ্পাড়া) গ্রামের মৃত আছির উদ্দিন শাহ্ এর ছেলে হানিফ উদ্দিন শাহ্ এর নাম উঠে আসে। এরপর তিনি গত মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এ আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করেন । শুনানী শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক সাইফুল ইসলাম । অপরদিকে, ১নং আসামী কামরুজ্জামান এবং ৪ নং আসামী রেজাউল করিম বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্ত আছেন।
কামরুজ্জামান বলেন, ২০১৯ সালে আমি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় এনজিও-তে চাকরি করি, ঈদের ছুটি কাটানোর জন্য বাড়ি আসি। এর আগে গত ৩/৬/১৯ তারিখে কে বা কাহারা সোলাইমান (৬৫) কে মেরে আধমরা করে রেখে যায়, (সোলাইমান তারাবির নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাচ্ছিলো। সময় তখন রাত ৮:১৫ মি:।) এরপর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি । অথচ, বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য এই হানিফ শাহ্ এর নির্দেশ মোতাবেক, নিহত সোলাইমান আলীর এর বড় ছেলে মামুন বাদী হয়ে, আমি ১নং কামরুজ্জামান। ২নং জুয়েল রানা। ৩নং হুকুমের আমামী আমার আব্বা তাইজুল ইসলাম। ৪নং রেজাউল করিম। ৫নং আব্দুল আলীম ভূট্টুসহ আমাদেরকে আসামি করে একটি দায়ের মামলা করেন নিহতের ছেলে মামুন । পরবর্তীতে পিবিআইয়ের তদন্তে হানিফ শাহ্ এর নাম উঠে আসে। ঘটনা হানিফ শাহ নিজেই ঘটিয়েছে। হানিফ শাহ্’র সাথে সোলাইমান এর ৩০ বছরের শত্রুতা। ওকে রিমান্ডে নিলেই সব সত্যি বের হয়ে আসবে। আমরা নির্দোশ। আমরা ওই ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না। আমাদেরকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসাতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা এর থেকে পরিত্রান পেতে চাই।

মামলার বাদী মৈনম ইউ’পি সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, যারা আমার বাবার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *