দুপচাঁচিয়ায় মেম্বার আলফাজ গ্রুপের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এবং থানায় এজাহার দাখিল

দুপচাঁচিয়ায় মেম্বার আলফাজ গ্রুপের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা এবং থানায় এজাহার দাখিল।

মোঃআব্দুস ছালাম মীর নিজস্ব প্রতিবেদক ঃবগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের কোলগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা মোঃফরিদ উদ্দীন প্রাং(৪২)পিতাঃআশরাফ আলী ও মোঃ ওয়াসিম প্রাং পিতাঃফরাজ আলী গন কে গত ২৭ জুলাই অনুমানিক সন্ধা ৭.৩০ঘটিকার সময় বিএনপি নেতা মেম্বার আলফাজ তার দলবল নিয়ে মোঃফরিদ উদ্দীনের মোটর সাইকেল গতি রোধ করে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে এতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কাতরায়তেছেন মোঃফরিদ উদ্দীন প্রাং ও তার চাচাতো ভাই মোঃ ওয়াসিম প্রাং।
এলাকাবাসী জানান,দীর্ঘ দিন যাবত বিএন পি নেতা মেম্বার আলফাজ এর সহিত পারিবারিক ও রাজনৈতিক ভাবে দ্বন্দ্ব চলছিল মোঃ ফরিদ উদ্দীনের এর ধারাবাহিকতায় মেম্বার আলফাজ এর বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর আলফাজ তার দলবল নিয়ে মোঃফরিদ উদ্দীন এর গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে এ সময় মাগরিবের নামাজের জন্য সবাই মসজিদে যায়,সে কারনে পুরুষ লোক তেমন ছিল না,একজন মহিলা জানান,মূলত তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ছিল তাদের। ব্যাপক মারধরের পরে আবার লাথি দিয়ে দেখে জীবিত আজি নাকি,একটু লড়াচড়া করছে তখন আবার এলোপাতারি ভাবে লাঠি দিয়ে পোটায়।রাস্তায় তার রক্তের দাগ এখনো দৃশ্যমান।

এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ফরিদ উদ্দীন স্ত্রী রুমা খাতুন জানান,২৭ জুলাই ৭.৩০ ঘটিকার সময় আমার স্বামী মোঃ ফরিদ উদ্দীন ও চাচাতো ভাই মোঃ ওয়াসিম প্রাং মোটর সাইকেল যোগে কোলগ্রাম পশ্চিম পাড়ায় যাওয়ার সময় আলফাজ মেম্বার এর বাড়ীর সামনে পৌঁছাতেই আলফাজ মেম্বার তার দলবল নিয়ে হাতে থাকা লাঠি,লোহার রড,ও চাকুদ্বারা এলোপাতাড়ি ভাবে আমার স্বামী মোঃ ফরিদ উদ্দীন ও চাচাতো দেবর ওয়াসিমের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তাদের হামলায় মাটিতে পড়িয়া গেলে আবার ও তারা তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও চাকু দিয়ে আমার স্বামীর মাথায় ও মাথার পিছনে রক্তাক্ত জখম করে, এবং এলোপাতাড়ি ভাবে লাঠি ও চাকুর আঘাতে আমার স্বামীর হাতে ও পায়ে হাটুর নিচে হার ভাঙ্গা জখম হয়,এবং আমার দেবর ওয়াসিমের উপর হামলা করে পিঠে ও হাতে ছিলা ফোলা জখম করে।
আলফাজ গ্রুপের লোকজন আমার স্বামীর ৪০০০০,(চল্লিশ) হাজার টাকা মূল্যের মোটর সাইকেল ভাংচুর করে এবং স্বামীর লুঙ্গির কোমরে থাকা ৫০০০০( পঞ্চাশ) হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আমার স্বামী ও দেবরের চিৎকারে আমি সহ সাক্ষী গন আগাইয়া আসিলে পরবর্তীতে আবার ও মারধর করার জন্য শাসাইয়া দ্রুত ঘটনা স্হল ত্যাগ করে।
পরে আমি সহ পোর্থাটি গ্রামের জল্হরুল সহ প্রথমে দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করি অবস্হার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ভর্তি করি।
বর্তমানে আমার স্বামী ও দেবর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।এবং গত ২৯ জুলাই ১২ জন আসামী করে দুপচাঁচিয়া থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন বলে রুমা খাতুন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে দুপচাঁচিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃআবুল কালাম আজাদ এর সহিত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা হয়েছে মর্মে নিশ্চিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *