চেক দিয়ে স্ত্রীকে ফাঁসাতে চাই প্রতারক স্বামী
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় চেক দিয়ে স্ত্রীকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে মোকাররম হোসেন নামের এক প্রতারক স্বামীর বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদলতে একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করেন প্রতরণার শিকার স্ত্রী নাহিদা আকতার সুইটি। যার মামলা নং ১৬২/২৩।
জানা যায়, গত ১৯ সালের ৪ঠা জানুয়ারি বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল লতিফের মেয়ে নাহিদা আকতার সুইটির সাথে বরুমছড়া এলকার মোঃ শরীফের ছেলে প্রবাসী মোকাররম হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সুইটির পরিবার জানায়, বিয়ের পর থেকে যৌতুক ও তাদের মেয়ে সুইটিকে নির্যাতনের জন্য
চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের গ্রাম্য এতাধিক সালিস বিচার হয়। এসবে সমাধান না হলে এর মাঝে আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও ফৌজদারী মামলাসহ তিনটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নাহিদা আক্তার সুইটির মোকাররম হোসেনের পারিবারিকভাবে বিয়ের পর থেকে জামাইসহ শশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের অজুহাতে সুইটিকে মারধর করে। চলতি বছরের ৯ ফ্রেব্রুয়ারি সুইটিকে তার শ্বাশুর বাড়ী থেকে বের করে দেয় । এসময় ঘরের নিজের ব্যবহুত ড্রয়ারে সুইটির জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিঃ এর চেক বইসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে দেয় তারা। পরবর্তীতে একাধিকবার জিনিসপত্রগুলো আনতে গেলে শশুরবাড়ির লোকজন তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এবিষয়ে স্ত্রী নাহিদা আকতার সুইটি জানান, যৌতুকের জন্য আমাকে মারধর করে বের করে দেওয়ার সময় আমার চেকবইসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রেখে দেয়। পরবর্তীতে আমার চেক বই দিয়ে আমাকে ফাঁসাতে আমার স্বামী বিভিন্ন প্রতারণা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আমার রেখে দেওয়া চেক দিয়ে জনৈক মাহিন থেকে ২০লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়। যার কিছুই আমি জানিনা। পরবর্তীতে জানতে পারি টাকা উদ্ধারে মাহিন আমার নামে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। এই নিয়ে চেক উদ্ধারে আমিও আদালতে একটা মামলা দায়ের করি। মামলার পরবর্তীতে আমি আমার একাউন্ট বন্ধ করে দিতে ব্যাংক ম্যানাজারকে জানালে তারা একাউন্ট বন্ধ করে দেয়।