অভিযোগের পাহাড় মতিহার থানার এএসআই শাওনের বিরুদ্ধে!
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান। তিনি মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ। পরিস্কার ও ভাল মনের মানুষ হিসেবেই তার পরিচিতি মতিহার অ লজুড়ে। থানায় যোগদানের পর থেকেই মাদক-সহ সকল প্রকার অপরাধ দমনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। কোন অন্যায়ের সাথে আপস করেছেন বা আটকের পর থানা থেকে কোন আসামী ছেড়েছেন এই রকম কোন উদাহরণ নেই বর্তমান ওসির বিরুদ্ধে। সম্প্রতী মতিহার থানার এএসআই শাওনের কর্মকান্ডে মতিহার থানার সুনাম ক্ষুন্ন হতে চলেছে।
এএসআই শাওন চর-শ্যামপুর মিজানের মোড়-সহ সমগ্র মতিহার থানার মাদক অ ল গুলিতে দাপটের সাথে অতঙ্ক সৃষ্টি করে চলেছে। মাদক কারবারী বাবু, জাকা, আসলাম, মিলন, আসাদুল, জাহিদ, সজিব, বকুল-সহ আরও অনেক মাদক কারবারির কাছে মাসোহারো এবং হপ্তা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে স্কুল মোড়ের মাদক ডিলার পালার কাছে মাসে ১৫হাজার টাকা নেয় সে। মতিহার থানার মহাব্বতের মোড় এলাকার ফল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের স্ত্রী’কে গালীগালাজ ও মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে এএসআই শাওন। নারীর নাম লতিফা খাতুন (২৬)।
জানা গেছে, (২০ সেপ্টম্বর ২২) মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তার বাড়িতে প্রবেশ করে এএসআই শাওন ও কনস্টেবল মিজান। ওই সময় গর্ভবতীর স্বামী জাহাঙ্গীরকে না পেয়ে তাকে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং চড় থাপ্পর মারে। একপর্যায়ে তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে তার ঘাড়ের ওপর আঘাত করে শাওন। শুধু তাই না শাওন বলে, তুই গর্ভবতী। তোর পেটে এমন লাথি মারবো যে এখনি ডেলিভারি হয়ে যাবে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা জড়ো হলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সে। এরপর গত (১৭ ডিসেম্বর ২০২২) শনিবার বিকাল ৫টায় মাদক মাদক কারবারি কাবিল ও জিয়াকে ১২০ বোতল ফেনসিডিল-সহ আটক করে এএসআই শাওন ও কনস্টেবল মিজান। পরে ১০০ বোতল ফেনসিডিল তার সোর্সের মাধ্যমে অন্যত্রে বিক্রি করে দেয়। তবে ২০ বোতলের মামলা দিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করে।
এছাড়াও গত (২৭ অক্টোবর ২০২২) সাত বাড়িয়া ঈদগাহ এলাকার মৃত ফজলুর ছেলে মাদক কারবারি তজুকে (৩৫) ৫০ বোতল ফেনসিডিল-সহ আটক করে শাওন। পরে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় তাকে এবং উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল অনত্র বিক্রি করে দেয়।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে এএসআই শাওন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগেড় কথা বলা হচ্ছে। তাহা সত্য নহে। তবে আমি মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকায় মাদক কারবারিরা আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যাতে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যপারে মতিহারে থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান ওমরাহ পালনে যাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।