কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে যুবককে পিঠিয়ে হত্যার, আটক-১

কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে যুবককে পিঠিয়ে হত্যার, আটক-১

হাফিজুর রহমান খান, স্টাফ রিপোর্টার:: কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভিতরে রাতভর পিঠিয়ে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিকিউরিটি গার্ড মিজানকে আটক করেছে পুলিশ।

আটক সিকিউরিটি গার্ড মিজানুর রহমান টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পানখালী এলাকার জাফর আলমের ছেলে এবং সী ওয়ার্ল্ড ম্যান পাওয়ার ও সিকিউরিটি লিমিটেড এর স্টাফ ।

সোমবার গভীর রাতে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মচারীরা গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সুত্রে জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দেয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর এসএম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে নাইটগার্ড মোহাম্মদ রাসেল, স্বপন রৌদ্র, রবিউল ইসলাম রুবেল ও সিকিউরিটি গার্ড মিজান। এতে আহত হয়ে পড়ে ওই ব্যক্তি। তারা মাঠের ভিতর থেকে আহতকে রাস্তায় এনে ফেলে দেয়।

বিষয়টি অনেকে দেখে পেলে থানা পুলিশকে খবর দেয়। সদর মডেল থানার এসআই মিঠুন সিং নেতৃত্বে একটি টীম তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪ জনকে আটক করে। পরে তিনজনকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় সিকিউরিটি গার্ড মিজানকে আটক দেখিয়ে থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই মিঠুন সিং জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মচারীরা একজনকে পিঠিয়ে হত্যার ঘটনায় থানার মামলা হয়েছে।

এই ঘটনায় সিকিউরিটি গার্ড মিজানের নাম উল্লেখ করে আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে। যার নং -১০ ও জিআর নং-১৮৩। এ ঘটনায় আটক নাইটগার্ড আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে এবং হত্যার সাথে জড়িত বলে দায় স্বীকার করছে। অজ্ঞাতনামা হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহটি আঞ্জুমান মফিদুলে হস্তান্তর করেন এবং রাতেই দাফন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চোর সন্দেহে গণধোলাইয়ের ঘটনায় একজন মারা গেছে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় মামলাও হয়েছে।

এদিকে গণধোলাইয়ের ঘটনার ভিড়িও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ভিতরে বিল্ডিং নির্মাণের সাইটের ম্যানেজার সাদ্দামের কাছে আছে বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেন।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কম্পিউটার অপারেটর এসএম আসাদুজ্জামান ঘটনার পরপরই ঘটনার সাথে জড়িত নাইটগার্ড মোহাম্মদ রাসেল, স্বপন রৌদ্র, রবিউল ইসলাম রুবেলকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মরদেহ নিয়ে সব ধরনের নাটকীয় ঘটনাও আসাদুজ্জামান জড়িত বলে জানা গেছে। তাকে আটক করলে হত্যার ঘটনা ও কারণ জানা যাবে বলে দাবী সচেতন মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *