১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ ৭৩৯ জনের মানববন্ধন ও আমরণ কর্মসূচি কাল
জমির উদ্দিন
৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে ফের মানববন্ধন ও আমরণ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম হওয়া চাকরিপ্রার্থীরা।
আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ জুন) সকাল ১০টায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও আমরণ কর্মসূচি পালিত হবে।
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়কারী রাজ্জাকুল হায়দার, ,উত্তম সরকার, মাসুদ রানা বলছেন, অন্যান্য গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সের ছাড় থাকলেও তাদেরকে সে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। তাই তারা বয়সের ছাড় দিয়ে আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। এতে তাদের ৭৩৯ জনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। তাই এখন আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি তাদের।
আমরা প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা দিয়ে চাকরি জীবনে একটি সার্টিফিকেট অর্জন করেছি। অথচ সেই সার্টিফিকেট দিয়ে আমরা চাকরি পাচ্ছি না। এনটিআরসিএ আমাদের জীবন থেকে চারটি বছর কেড়ে নিয়েছে। এনটিআরসিএ আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেতে বলছে, কিন্তু কোন কাজ হচ্ছে না। আমরা এখন অন্তত একবার হলেও আবেদনের সুযোগ চাই।
এছাড়া এ বিষয়ে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ একাধিক প্রার্থী বলেন,এনটিআরসিএ নিবন্ধনে পাস করা কি আমাদের অপরাধ? তাদের কারণে আমাদের চাকরির বয়স শেষ হয়ে গেছে।তাই আমরা ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ চাই। এখন আমরা যৌক্তিক দাবি আদায়ে আগামীকাল শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও আমরণ কর্মসূচি পালন করব। তাই সারা দেশের ১৭তম ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীদের তাদের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়ছেন ১৭ তম শিক্ষক নিবন্ধন ফোরাম এর সমন্বয়কারীরা।
জানা যায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ৫ম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ হাজারেরও কম প্রার্থী আবেদন করেছে। এতে এনটিআরসিএর নিবন্ধনে পাস করা ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনধারীদের কপাল পুড়ছে। ২০২০ সালের ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন এর এনটিআরসিএ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ থেকে শুরু করে মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে করোনার কারণে চার বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হয়।
উল্লেখ্য-এর আগে, একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ও এনটিআরসিএ কার্যালয়ের সামনে একাধিকবার মানববন্ধন করেন ১৭তম নিবন্ধনের ৩৫ ঊর্ধ্বরা। এছাড়া আবেদনের সুযোগ চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।