লোহাগাড়ায় ছড়া ও খালের পাড় ভেঙ্গে বালু উত্তোলন
(বিশেষ প্রতিনিধি)
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ছড়া ও খালের পাড় ভেঙ্গে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা। ফলে ঝুঁকিতে পড়েছে খালের দুই পাশে বসবাসরত সাধারণ মানুষ। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় প্রভাবশালী এ রাজনৈতিক নেতারা বালু ব্যবসায় জড়িত হওয়ায় কোন ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পানত্রিশা, ফারাঙ্গা খালের মুখ, ঘোড়ার চর, সড়ইয়া খালের মুখ, ফারাঙ্গা ইব্রাহিম বাপের বাড়ি সংলগ্ন সহ একাধিক জায়গা থেকে বালু ব্যবসায়ীদের অভিনব কায়দায় বালু উত্তোলনের এসব দৃশ্য চোখে পড়ে। সরকারি আইনকে অমান্য করে এবং প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে ওঠেছে বালুখেকোরা। অনেকেই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় টেইলা পাহাড়, ছড়া, খাল-বিল ও কৃষি জমিতে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন বসিয়ে ইজারার নাম ভাঙ্গিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে সিন্ডিকেট চক্র। যত্রতত্র বালু উত্তোলন ও বালু পাচার করার ফলে ক্ষতি হচ্ছে এসব এলাকার রাস্তাঘাট, সেতু-কার্লভাট ও ফসলি জমি। হারাচ্ছে পরিবেশ জীববৈচিত্র্য, আর সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এসব বালুভর্তি ট্রাক প্রায় সময় রাস্তার মাঝে নষ্ট হয়ে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি করে। ভোগান্তিতে পড়েন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ।
স্থানীয়রা বলেন, প্রতিদিন শত শত বালুবাহী ডাম্পার ও ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তা-ঘাট, ধানিজমি, কালভার্ট ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। ব্রিজ ও কালভার্ট সংলগ্ন ও সরকারি খাল থেকে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। মাঝে মধ্যে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও এসব অসাধু বালু ব্যবসায়ীদের থামানো যাচ্ছে না। তারা প্রশাসন ও নিলামের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে, দেখার কেউ নেই।
এসব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।