মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় সেক্রেটারির হামলার শিকার হলেন ভূমিদাতা
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বটতলীর ঐতিহ্যবাহী মাঝর পাড়া জামে মসজিদটিতে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে স্বঘোষিত এক কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে মসজিদের অর্থ আত্মসাতের বহু অভিযোগ। এসব অভিযোগের পরিপেক্ষিতে মসজিদ কমিটির হিসাব-নিকাশ চাওয়ায় মসজিদ কমিটির সেক্রেটারির হামলার শিকার হয়েছেন মসজিদের ভূমিদাতার পরিবারের সদস্য শহীদুল ইসলাম (২৮)।
শুক্রবার (১৬ জুন) জুমা'র নামাজের পর মসজিদের ভেতর এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পুলিশসদস্য শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, মতিউর রহমান (৬০), খায়ের আহমদ ইউসুফ (৪০), মো: হাফেজ (৩৮), মো: রাসেল (৩২), মো: মামুন (২৮), মো: সাহাব উদ্দিন (২৪), মো: জাহেদ (২০)। তারা সকলেই বটতলী ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, শহিদুলের পূর্বপুরুষের দেওয়া জায়গা উপর নির্মাণ করা হয় বটতলী মাঝর পাড়া জামে মসজিদটি। ভূমিদাতার একজন উত্তরসূরী হিসেবে শহিদুল মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ১নং অভিযুক্তের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চাওয়ায় সেক্রেটারি আর অন্যান্য অভিযুক্তরা মিলে শহিদুলকে গালমন্দ করে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে স্বঘোষিত কমিটির মাধ্যমে মসজিদের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে কমিটির স্বঘোষিত সেক্রেটারি মতিউর রহমান। শুক্রবার জুমার নামাজে মসজিদের জন্য টাকা তোলার সময় আমি বাকি আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে তারা আমার উপর চড়াও হয় এবং ধাক্কা দিয়ে মসজিদ থেকে বের করে দেয়।
বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মতিউর রহমান বলেন, মসজিদের জায়গার কোনো কাগজপত্রে তাদের নাম উল্লেখ নাই। শুধু শুধু মসজিদে ঝামেলা করতেছিলো তাই মুসল্লীরা তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে আনোয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আতাউল হক চৌধুরী বলেন, এবিষয়ে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করে উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।