ময়মনসিংহে চাকুরি দেয়ার নামে ভয়ংকর প্রতারণা ; নিঃশ্ব অর্ধশত পরিবার
গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ জেলায় চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে নগদ লাখ লাখ টাকা, ব্লাঙ্ক চেক ও ট্যাম্প হাতিয়ে নিয়ে ভূয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার ভয়ংকর এক প্রতারক চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। শিক্ষিত বেকার ও সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি প্রত্যাশীরাই প্রতারক চক্রের মূল হাতিয়ার।
অভিযোগ উঠেছে ফুলবাড়ীয়া উপজেলার মোঃ আব্দুল মোতালেব তারা মেম্বারের ছেলে কম্পিউটার অপারেটর শাহীনুর রহমান শাহীন, ত্রিশাল উপজেলাধীন ধানীখোলা ইউনিয়নের মাইশাটিকি তালতলা বাজার এলাকার মোহাম্মদ মজিদের ছেলে পারভেজ, হাবিবুর রহমান মাষ্টারের ছেলে সাইদুর রহমান শাকিল, মোহাম্মদ তাজুর ছেলে রিফাত গংদের বিরুদ্ধে।
চাকুরী প্রত্যাশীরা নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে খুশি হলেও কর্মস্থলের ঠিকানায় গিয়ে যখন দেখে নিয়োগপত্র ভূয়া তখনি যেন আকাশ ভেঙে মাথায় পড়ে চাকুরী প্রত্যাশীদের।
এরপর ভূয়া নিয়োগপত্র নিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে টাকা ফেরত চাইলেই শুরু হয় প্রতারক চক্রের নতুন কূটকৌশল, জিম্মি করা হয় চাকরি প্রত্যাশীদের, মূখ খললেই ব্লাঙ্ক চেক আর স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্প দিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে ফাঁদ পাতা হয় নতুন করে টাকা আদায়ের। আর সেই ভয়ে চাকুরী প্রার্থীরা বাধ্য হয়েই টাকার আশা ছেড়ে দেন।
প্রবাদ আছে চোরের শতদিন আর গৃহস্থের একদিন, এতদিন ভুক্তভোগীরা জ্বিম্মি হয়ে চাকুরির জন্য দেওয়া টাকা ছেড়ে দিলেও সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিয়োগপত্রের ছবি আদান প্রদান ও মুঠোফোনে কথোপকথনের ডকুমেন্টস এর জের ধরে ফেঁসে গেছে ভয়ংকর প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
এবিষয়ে চাকুরী প্রত্যাশী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় এর পিতা সিদ্দিকুর রহমান ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) পুলিশ।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমি চাকুরির জন্য সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা নগদ দিয়েছি এবং সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার চেক দিয়েছি। আমাকে একে একে দুইটি নিয়োগ পত্র দিয়েছে যা ব্যাংকে গেলে ভূয়া প্রমাণিত হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ধানিখোলা ইউপি চেয়ারনকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এরা বিভিন্ন জনকে চাকুরি দিবে বলে টাকা হাতিয়ে নেয়। এরা টাউট। এদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করার জন্য আপনাদের যা যা পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তাই নিতে পারেন।