মধুপুরে সরিষার হলুদ ফুলে কৃষকের মুখে হাসি

মধুপুরে সরিষার হলুদ ফুলে কৃষকের মুখে হাসি

রাজ্জাক তালুকদার মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে মাঠে সবুজের মাঝে ফুটে আছে হলুদ সরিষা ফুল। শীতের হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে সুবাস। মধু আহরণে ফুলে ফুলে বসছে মৌমাছি। সেই সাথে সরিষার হলুদ ফুলে মনোমুগ্ধকর হয়ে ছবি তুলছেন কোমলমতি শিশু সহ সকল বয়সী নারী পুরুষ। যত দূর চোখ যায় হলুদের সমারোহ। এই মৌসুমে মধুপুর উপজেলায় রেকর্ড পরিমান জমিতে সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকেরা সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ২৫৪০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মাঠগুলোতে চোখে পড়ার মত সরিষার ক্ষেত।
মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া ইউনিয়নের দড়িহাতিল গ্রামের কৃষক আঃ করিম, বেলায়েত হোসেন, আঃ হামিদ জানান কৃষি অফিসারের সহযোগিতায় ও আমাদের এলাকার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক তত্বাবধানে আমাদের সরিষার আবাদ ভাল হয়েছে। প্রতিটি সরিষাগাছে প্রচুর পরিমাণ ফুল ধরেছে। ফুলগুলো আকারেও বড় হয়েছে। মনে হচ্ছে, এবার সরিষার ফলন ভালো পাব। সময়মতো সরিষা তুলে বিক্রি করতে পারলে বাড়তি কিছু টাকা আসবে। এতে পুরোদমে ইরি-বোরো চাষ করতে পারব।
শফিক মিয়া জানান, গত বছর আমার জমি পতিত ছিল সরিষার দাম ভাল থাকায় এবছর আমি প্রায় তিন বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি ফলন ভাল হয়েছে আশা করছি ভাল দাম নিয়ে বিক্রি করতে পারব। ওই টাকা দিয়েই আমি বোরো চাষ করতে পারব।
সরিষা চাষীরা জানান এই বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ভালো ফলনের আশা করছি। বাজারেও সরিষার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। নিজ পরিবারের তেলের যোগান ও বাড়তি আয়ের জন্য তারা সরিষার চাষ করছেন বলেও জানান ।
মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আল মামুন রাসেল বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে কৃষকদের সরিষা বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। উন্নত ফলনশীল জাতের বারী-১৪, ১৫,১৭,১৮ বিনা – ৪,৯,১১ জাতের সরিষার চাষ সহ স্থানীয় বিভিন্ন জাতের সরিষার চাষ হয়েছে।
মধুপুর উপজেলার ব্যাপক সরিষার আবাদ হয়েছে। লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে এ বছর ২৫৪০হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৬থেকে ৭মন সরিষা ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যথাসময়ে জমি চাষযোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকেরা সুযোগ বুঝে সরিষা চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো ধরনের ক্ষতি না হলে এ উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *