বাউফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের এক দফা দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
এম,সাইদুর রহমান (বাউফল)পটুয়াখালী।
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান এবং যুগান্তর বিশেষ প্রতিবেদক মাহবুব আলম ওরফে লাবলুর বিরুদ্ধে করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহারসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের এক দফা দাবিতে পটুয়াখালীর বাউফলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
বাউফল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আজ শনিবার বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বাউফল প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপী ওই কর্মসূচি চলে।
এ সময় বক্তৃতা করেন বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জনকণ্ঠের কামরুজ্জামান ওরফে বাচ্চু, সমকালের জিতেন্দ্র নাথ রায়, প্রতিদিনের সংবাদের মো. দেলোয়ার হোসেন,নয়া দিগন্তের আসাদুজ্জামান ওরফে সোহাগ,যুগান্তরের আরেফিন সহিদ, মাই টিভি ও ভোরের পাতার অহিদুজ্জামান ওরফে ডিউক,উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক স্যামুয়ের আহম্মেদ লেনিন প্রমুখ।এ সময় বাউফল প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির বিভিন্ন প্রিন্ট ও বেসরকারি টেলিভিশনের অর্ধশত সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য এক কালো অধ্যায়।বাক স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধ্বংস করার জন্য এই কালো আইন। যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- এই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না পায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাছ, মাংস ও ভাত অধিকার নিয়ে একজন নাগরিকের বৈধ বক্তব্য প্রকাশ করায় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগে সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো মধ্যযুগীয় বর্বরতা ছাড়া কিছুই না। বরং এভাবে সাংবাদিকদের হয়রানি করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হচ্ছে।বক্তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের এক দফা দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের নিঃশর্ত মুক্তি, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও যুগান্তরের বিশেষ প্রতিবেদক মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা প্রত্যাহার চেয়েছেন।