প্রবাসী পরিবারের সংবাদ সম্মেলনে দাবী,
আসামীদের চেনে না বাদী!
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
সৌদি প্রবাসী মো. ইউনুসের বাড়ী কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার শ্রীমুড়া গ্রামে, অপর দিকে আরেক প্রবাসী মো. আলী আকবরের বাড়ী চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বটতলী গ্রামে। দুই জনের পরিবারের মধ্যে কখনো চেনা জানা কিংবা কোন প্রকারের পরিচয়ও নেই। কিন্তু হঠাৎ করে গত ২ জুন আলী আকবরের পরিবার জানতে পারে তাদের বিরুদ্ধে মো. ইউনুস নামের এক ব্যক্তি চট্টগ্রাম পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগ করেছে।পরে দুই মাস খোঁজাখুঁজির পর ইউনুসের পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু ইউনুসের পরিবারের সদস্যরা জানায় গত বছরের ৪ জুলাই ২৩ সালে ইউনুস সৌদি আরব চলে গেছে। এই সময়ের মধ্যে তিনি একবারও দেশে আসেনি এবং এই অভিযোগ সম্পর্কে ইউনুস ও তার পরিবারের সদস্যরা কিছুই জানেনা এমনকি আলী আকবরের পরিবারের সদস্যদেরও তারা চেনেনা।বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ বন্দর সেন্টারে একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী ইউনুস ও আলী আকবরের পরিবারের সদস্যরা এই দাবী করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউসুফের স্ত্রী,ইউনুসের ভাই মো. ইউসুফ, প্রবাসী আলী আকবরের ভাই মো. মামুন ও আরমান উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী আলী আকবরের ভাই মো. মামুন বলেন, গত ২ জুন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আমার ভাই ও আমাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগের কথা শুনে হতভম্ব হয়ে পড়ি, এই অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ হয়। পরে ইউনুসের পরিবারের সদস্যদের খোঁজে বের হয়ে জানতে পারলাম তারা কোন অভিযোগ করেনি। ইউনুসের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছে তারা অভিযোগ সম্পর্কে কিছুই জানেনা। খোঁজ নিয়ে আমরা জানতে পারলাম আমাদের সাথে পারিবারিক বিরোধের জেরধরে কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মো. আবু তৈয়ব ও আমাদের প্রতিবেশি মো. মুসলিমুর রহমান ইউনুসের স্বাক্ষর জাল করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা এসব অভিযোগ করেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।