দূর্ণীর্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আনোয়ারা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অফিস করতে দিচ্ছে না এক গ্রুপ শিক্ষক
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারা সরকারী কলেজের বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিসের চৌকষ কর্মকর্তা ও বিএনসিসির দুই বার শ্রেষ্ঠ অফিসার উপাধি পাওয়া আনোয়ারার শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন ২০২৩সালের ২২শে অক্টোবর যোগদান করেন। যোগদানের পরে ৩১শে অক্টোবর আর্থিক দায়িত্ব প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বুঝে নেন। আর্থিক দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর শিক্ষকদের অস্বাভাবিক টাকা উত্তোলন নিয়ে সন্দেহ হলে অধ্যক্ষ আস্তে আস্তে সকল হিসাব দেখতে থাকেন তাতে কলেজের শিক্ষকরা প্রায় দুই কোটি টাকা মতো আত্মসাৎ করেন বলে প্রতিয়মান হন। অধ্যক্ষ নিজের সাধ্য মতো চেষ্টা করে কোন ধরণের সুরাহা না পাওয়ায় তাহার নিজ নামে আবদুল্লাহ আল মামুন ভেরিফাই ফেসবুকে কলেজের দূর্ণীর্তির চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন শিকক্ষরা অত্র কলেজ সরকারী হওয়ার পরেও দুই জায়গা হতে বেতন উত্তোলন করেন বলে দাবী করেন অধ্যক্ষ। এব্যাপারে শিক্ষকদের উত্তোলন কৃত অর্থ ফেরত দিতে ২৪ সালের ১১ই আগষ্ট সরকারী পরিপত্র অমান্য করে কলেজ ফান্ড থেকে যে পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছেন তা জমা দেওয়া জন্য এই বছরের ৩০শে জুন এবং দ্বিতীয় বার ২৪শে জুলাই দুই বার জরুরী অফিস আদেশ দেওয়ার পরেও কর্ণপাত করেন নি কোন শিক্ষক। বরং তারা অতিরিক্ত উত্তোলন কৃত টাকা জমা না দিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে থাকেন। যখন ৫ই আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হলে প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যখন শিক্ষকদের পদত্যাগের হিড়িক পড়ে তখনই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত শিক্ষকরা কলেজের কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে কলেজে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন। প্রাণের ভয়ে কলেজ করতে পারতেছেনা বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিজেকে ছুটিতে থেকে সমাধান পথ চাইতেছেন ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে। দারস্থ হচ্ছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এব্যাপারে অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কলেজের ব্যাপক দূর্ণীর্তিতে হাত দেওয়ায় একটা গ্রুপ আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। অথচ আমার ৩৩বছরের কর্মজীবনে এই ধরণের কোন অভিযোগ নেই। ২০১৮ সালে কলেজ সরকারী হওয়ার পর থেকে কলেজ ফান্ড থেকে উত্তোলিত টাকার হিসেব পর্যালোচনা করলে শিক্ষকদের সকল দূর্ণীতির হিসেব উঠে আসবে। ব্যাংক একাউন্ট থেকে উত্তোলনের হিসেব আছে শিকক্ষরা চারটি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন করেন। সেগুলো হলো প্রতি মাসে এক জন শিক্ষক চার ভাবে টাকা উত্তোলন করতেন। (এক) এমপিওর পরিপূর্ণ টাকা। (দুই) কলেজ ফান্ডে থেকে অতিরিক্ত ২০ পার্সেন্ট টাকা। (তিন) অতিথি শিক্ষকের নামে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা। (চার) গোপনে ভবিষ্যত তহবিল গঠন করে সেখানে কলেজ ফান্ডের টাকা সরিয়ে সেখান থেকে লোন নিয়ে সে টাকা আত্মসাৎ করা। তিনি এই বিষয়ে সরকারী অডিট হওয়ার জোর দাবি জানান।