দক্ষিণ জেলা বিএনপির দায়িত্ব নিয়ে দলকে শক্তিশালী করতে চান, এড.লোকমান শাহ

দক্ষিণ জেলা বিএনপির দায়িত্ব নিয়ে দলকে শক্তিশালী করতে চান, এড.লোকমান শাহ

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

তিনবারের ক্ষমতায় থাকা দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকায় নেতা কর্মীরা অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েন। তারই মাঝে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আন্দোলন সংগ্রামে পুলিশি নির্যাতন ও কারাভোগ করতে হয় অনেক নেতা কর্মীকে।

আন্দোলন সংগ্রামের পরও নির্বাচন বানচালে ব্যর্থ হয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এতে করে বিএনপির নেতা কর্মীদের মাঝেও হতাশা নেমে আসে। কেন্দ্রীয় নেতারা দলকে উজ্জীবিত করতে তৃণমূল পর্যায় থেকে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেন । আর এই কমিটিতে দলের ত্যাগী,নির্যাতিত ও কারানির্যাতিত নেতাদের অগ্রাধিকার দিতে চান বলে দলের বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। এতে করে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সম্মেলন ঘিরে ফের উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা।

সম্মেলনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা। শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে হাইকমান্ডের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অনেকেই। পিছিয়ে নেই দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট এম. লোকমান শাহ্। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হতে চান তিনি।

ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া লোকমান শাহ আনোয়ারা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, আইনজীবী নেতা ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।

দলের দুঃসময়ের এ ত্যাগী নেতা, রাজপথ থেকে দুইবার গ্রেপ্তারও হন পুলিশের হাতে। ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম এবং ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। দলের সক্রিয় এ নেতা। বিএনপির দুঃসময়েও হাল ছাড়েননি মাঠের রাজনীতি থেকে। দলকে শক্তিশালী করতে সাধারণ জনগণকে নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে রাখছেন অভাবনীয় ভূমিকা।

এডভোকেট এম. লোকমান শাহ্ বলেন, দলের সকল অঙ্গ, সহযোগী সংগঠন ও জনগণের দাবীর প্রেক্ষিতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির দায়িত্ব নিতে চান । তিনি আরো বলেন, আমরা এখন দুঃসময় অতিক্রম করছি। দলকে পুনরায় সুসংগঠিত করতে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করার বিকল্প নেই। যারা জেল জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদেরকে পদ খুঁজতে হবে না পদই তাদেরকে খুঁজবে। এভাবে আমি ত্যাগীদের মূল্যায়ন করব। কে কার লোক আমলে নেওয়া হবে না। দলের জন্য অপরিহার্য কিনা তা দেখা হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে রাজপথে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে দক্ষিণ জেলায় সময়োপযোগী নেতৃত্ব দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাব।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একটা দিন বা একটা মুহুর্তেও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাইনি।  বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিমঞ্চের মাধ্যমে মুক্তির আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রেখেছি। নিজের জীবন বাজি রেখে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছি। বিএনপির দুঃসময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি। এখনও দলকে সু-সংগঠিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আশা করি দল আমাকে মূল্যয়ন করবে।’

তিনি আরও বলেন, দলের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে একাধিকবার কারাভোগ করেছি, দলের কর্মীদের সব ধরনের আইনগত সেবাও দিয়ে যাচ্ছি। ‘আমি দলের জন্য কাজ করে যাব আজীবন। রাজপথে আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার আন্দোলন করে যাব ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *