ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত এড.লোকমান শাহ, হতে চান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
হঠাৎ করে গত রোববার বিলুপ্ত করা হয় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক কমিটি। যে কোনো মুহূর্তেই ঘোষণা হতে পারে নতুন কমিটি।ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে বিএনপির কেন্দ্রীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন অনেকেই। এই লবিংয়ে পিছিয়ে নেই দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট এম.লোকমান শাহ্। দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হতে চান তিনি।
সার্বিক বিষয়ে কথা হয় এম.লোকমান শাহে্র সঙ্গে। তিনি বলেন,দক্ষিণ জেলা বিএনপির যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। নিজেকে সৎ, যোগ্য ও দায়িত্বশীল দাবি করে বলেন,আমি ছাত্রজীবন থেকে সততার সঙ্গে রাজনীতি করে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি,মাদক এবং ক্যাসিনোর সঙ্গে কখনও নিজেকে জড়াইনি।
নিজের কাছে আপনি যোগ্য প্রার্থী কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,তৎকালীন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের আমলে রাজনৈতিক দৃশ্যপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। আন্দোলন সংগ্রামকে কেন্দ্র করে কারাভোগ করতে হয় বিএনপি’র অনেক নেতা কর্মীকে। সে সময়ে দুইবার কারাগারে বন্দী ছিলাম আমিও। দেশের বর্তমান বিএনপি’র রাজনৈতিক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। দলের হাইকমান্ডের নেতৃবৃন্দ ক্লুিন ইমেজের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব খুঁজছেন
আমি মনে করি প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমি যোগ্য। দলের দুঃসময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি। এখনও দলকে সু-সংগঠিত করতে ও একজন আইনজীবী হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমি কারাভোগ করেছি। সে হিসেবে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতেই পারি।
সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হলে আপনার পরিকল্পনা কী; জানতে চাইতে তিনি বলেন, নন্দিত জননেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক জেলা বিএনপিকে ঢেলে সাজাতে চাই। কমিটিতে রাজপথের কর্মীদের প্রাধান্য দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন,থানা,উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায় থেকে সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে গঠন করতে চাই। নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বিএনপি পরিবারের সন্তান এমন ব্যক্তি হতে হবে।
ছাত্রজীবণ থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন লোকমান শাহ;আনোয়ারা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিমঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ চট্টগ্রামের দলের কর্মসূচি চলাকালীন পুলিশ বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে নির্যাতনের শিকার হন তিনি। পরবর্তীতে আবারো ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশে যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন এবং দীর্ঘ ৩৮ দিন কারাবন্দী থাকার পর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে মুক্তি পান তিনি।