চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা বেলাল-এ-হাবিব
লোহাগাড়া প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম)
দীর্ঘদিন পর চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী (১জুন) বৃহস্পতিবার বিকেলে চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে উৎসবের আমেজ। কে হবে ইউনিয়ন যুবলীগের কান্ডারী? তা নিয়ে চলছে নানান জল্পনাকল্পনা। এদিকে সাবেক ছাত্রলীগ ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের হাতে যুবলীগের দায়িত্ব তুলে দিলে দল আরো শক্তিশালী হবে বলে আশাবাদী তৃনমুলের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন দলের দুঃসময়ে যারা রাজপথে ছিল, ছাত্র জীবনে
স্কুল,কলেজ,ইউনিয়ন এবং উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদেরকে মূল্যায়ন করার সময় এসছে এখন। হাইব্রিড মুক্ত এবং শক্তিশালী যুবলীগের কমিটি করতে হলে সাবেক ছাত্র নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে আসতে হবে। যারা বালি, মাটি খেকোদের তালিকায় রয়েছে তাদের যেন যুবলীগের কমিটিতে স্থান দেওয়া না হয় এই দাবীও জানান একাধিক দলীয় নেতাকর্মীরা।
(২৭ মে) শনিবার বিকেলে চরম্বা ইউনিয়নের তৃনমুল আওয়ামী পরিবারের বেশ কিছু সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি (২০০৩-২০০৬) মো: বেলাল-এ- হাবিব ইতিমধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমুল পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মাঠে সক্রিয় ছিল। ২০০৮ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী তথা নৌকা প্রতিকের পক্ষে ভোটকেন্দ্রে এজেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় শিশু সংগঠন ''বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা'' প্রতিষ্ঠাকালীন (২০০৪-১০) লোহাগাড়া উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ২০১৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমানের উপস্থিতিতে সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি এলাকায় মসজিদ, মাদরাসা সহ বিভিন্ন সমাজিক কাজে জড়িত রয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদ প্রত্যাশী, সাবেক ছাত্রনেতা বেলাল-এ- হাবিব জানান, তিনি ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভালবাসতেন।
ছাত্র জীবনে চরম্বা উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। পরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি (২০০৩-২০০৬) ছিলেন। ২০০৪ সাল থেকে জাতীয় শিশু সংগঠন 'বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা'য় সুনামের সাথে জড়িত রয়েছে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু'র সংক্ষিপ্ত জীবনি সম্মিলিত একটি বই প্রকাশ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া'র নির্দেশে দলের যেকোনো আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন এবং আগামীতেও থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো জানান, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, আমার বড়আব্বু মরহুম আহমদ কবির ১৯৭১ সালে চরম্বা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
আমার বাবা মরহুম নুরুল কবির দীর্ঘ ২৩ বছর ইউপি সদস্য এবং ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আজীবন সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর ছিলেন। পাশাপাশি আমার বাবা একজন শিক্ষক ছিলেন। আমি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি হিসেবে প্রার্থী হয়েছি। এবারের সম্মেলনে দলীয় নেতৃবৃন্দের কাছে আমি সভাপতি পদটি প্রত্যাশা করছি। আমি যদি এই দায়িত্ব পাই তাহলে কথা দিচ্ছি ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগকে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাবো এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ করার যে সপ্ন দেখেছেন সেটি বাস্তবায়নে জীবন বাজি রেখে চেষ্টা করে যাবো ইনশাআল্লাহ।