চমৎকার কৌশলে অপরাধ দমন এক দাফ এগিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ জহির উদ্দিন

চমৎকার কৌশলে অপরাধ দমন এক দাফ এগিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ জহির উদ্দিন

মোঃ শহিদুল ইসলাম
বিশেষ প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র, আর এ স্বাধীন দেশের জনসংখ্যার পরিমান প্রাই ১৮ কোটির ও বেশি
বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র বিদায় এদেশের জনগণ স্বাধীনভাবে চলাফেরা স্বাধীন মতপ্রকাশ করে, আর স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার প্রয়োজন হয় শতভাগ, ১৮ কোটির ও বেশি জনসংখ্যার দেশে রাত দিন কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এ দেশের শান্তি প্রিয় জনগন কে নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা

এ দেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে গেলে নানারকম আলোচনা-সমালোচনার শিকার হতে হয় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের কে

এত আলোচনা সমলেচনাকে পাত্তা না দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব শতভাগ পালন করে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় শতভাগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন পুলিশ বাহিনী,

যদিও এক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নেকেটিভ সমালোচনা বেশি হলেও এবার চায়ের টেবিলে পজিটিভ আলোচনায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পশ্চিম জোনের হালিশহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জহির উদ্দিন

দেশে বর্তমানে যখন পুলিশ সদস্যদের নিয়ে দ্বায়িত্ব অবহেলাসহ নানান বিতর্কিত কর্মকান্ড পত্রপত্রিকায় শিরোনাম হচ্ছে তখন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সিএমপির হালিশহর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরির্দশক মোহাম্মদ জহির উদ্দিন কে পজেটিভ আলোচনায় মুখরিত হচ্ছে হালিশহর থানা এলাকার বিভিন্ন চায়ের স্টল, ক্লাব, সামাজিক সংগঠনের আড়ড়ায়,
আগের তুলনাই চট্টগ্রামের হালিশহর থানা এলাকা অনেক টায় কিশোর গ্যাং ও ছিনতায় মক্ত এলাকা দাবী করে হালিশহরের এক স্থানীয় বাসিন্দা দৈনিক আলোকিত দেশ কে আরও বলেন আগে এক সময় হালিশহর এলাকায় রাত ৯ টার পর একা চলাফেরা করা যেথ না কিশোর গ্যাংয়ের তান্ডব এতই ছিল যে তা বলে বোঝানোর মত নয়, বর্তমানে নতুন ওসি স্যার আসার এক সাপ্তাহ পর থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালানোর কারনে হালিশহর থানা এলাকা এখন শত ভাগ কিশোর গ্যাং মক্ত এলাকা, এখন রাত ১ টা বাজে একা একা নিরাপদে চলাফেরা করা যায়,
জনাব মোহাম্মদ জহির উদ্দিন ২৭ /৫/২২ এ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে সিএমপির দায়িত্ব গ্রহন করেন,একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন সিএমপির হালিশহর থানার দায়িত্ব বুজে নেওয়ার পর থেকেই মাদক ব্যবসায়ী,চাদাবাজ, দখল বাজদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা রখম অভিযান পরিচালনা করে হালিশহর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে পুরা চট্টগ্রামের পজেটিভ আলোচনার কেন্দ্র বিন্দ, মোহাম্মদ জহির উদ্দিন হালিশহর থানায় যোগদানের পর থেকে ৯ মাসে হালিশহর থানা এলাকায় বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে, এতে মোট মাদক মামলা ২৫ টার অধিক,মোট হত্যা মামলা ৬ টা, ১০০ জনের অধিক কিশোর গ্যাং এর সদস্য গ্রেফতার, মোট চুরি ছিনতায় মামলা ৩০ টার ও অধিক, ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা ১ টা, সাজাপাপ্ত আসামি ২০০ এর অধিক গ্রেফতার ও জুয়া আইনে ১৫০ এর অধিক আসামি গ্রেফতার করেন, হালিশহর থানার এ ধরনের সাড়াসি অভিযানে ও ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন ব্যবহারে খুশি হালিশহরে বাদিন্দারা ব্যবসায়ী, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা
ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন এর আগে ২০২১ সালে সিএমপির সদরদপ্তরে কর্মরত ছিলে

২৯ ডিসেম্বরে ১৯৮৯ সালে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার মহুরীগঞ্জ এলাকায় মাতা বেগম নুরজাহানের গূর্বে জন্ম গ্রহন করেন মোহাম্মদ জহির উদ্দিন
মোহাম্মদ জহির উদ্দিন এর পিতা হাজি রহুল আমিন পেশায় ছিলেন একজন ব্যবসায়ী, ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন তার বেড়ে ওঠা ও শৈশব কাটে নিজ গ্রামে
মোহাম্মদ জহির উদ্দিন ১৯৯৬ সালে মহুরীগঞ্জ এস এ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে
সেকেন্ড ডিভিশনে পাস করেন, এর পর ১৯৯৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে এইস এস সি তে কর্মাস গ্রুফ থেকে ১ম ডিভিশনে পাস করেন,২০০৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিএসএস এমএসএস অর্থনীতি মাস্টার্সে ২য় ডিভিশন লাভ করেন

মোহাম্মদ জহির উদ্দিন ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন দেখেছিলেন বাবা রহুল আমিনের মত ব্যবসায়ী হবেন আর বাগান চর্চা করে নিজেকে পরিবেশ বান্ধব করবেন
যদি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন এখন উজ্জীবিত পুলিশের চাকরির ও জনগনকে সেবাদানের পাশা পাশি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেষ মোতাবেক থানার বাগান পরিচর্চা করার সুযোগ পেয়েছেন ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন এ জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনাবা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন

মোহাম্মদ জহির উদ্দিন ২০০৬ সালে ফেব্রুয়ারীতে ফেনী জেলা থেকে এস আই সাব-ইন্সপেক্টর পদে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী তে যোগদান করেন
মোহাম্মদ জহির উদ্দিন তার চাকরির জীবনে লক্ষিপুর জেলার রামগতি থানায় আলোচিত ১ জোড়া ডিমের জন্য শাশুড়ী ননদ কৃতক
ছেলের স্ত্রী কে হত্যা মামলার রহশ্য উদঘাটন করে ১২ ঘনটার মধ্যে আসামি গ্রেফতার করে কোন সময়ে সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে লক্ষ্মীপুর জেলায় আলোচিত ছিলেন মোহাম্মদ জহির উদ্দিন
এর পর ২০১০ সালে চাঁদপুর মডেল থানায় যোগদান
চাদপুর মডেল থানায় যোগদানের পরে ২০১১ এর শেষের দিকে দায়িত্ব থাকা অবস্থায় চাদপুর ইলিশ চত্তর বহরিয়া এলাকায় ২ /২ বার জামাত শিবিরের হামলার শিকার হয়ে গরুতর ভাবে অসুস্থ হয়ে পডেন মোহাম্মদ জহির উদ্দিন
নোয়াখালী জেলা ২০১৩ সালে ২৫ ই অক্টোবর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের অফিসে সামনে দায়িত্ব পালন কালে জামাত শিবিরের বিএনপির হামলার শিকার হয়ে মাথায় ইট পাটকেলের আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মোহাম্মদ জহির উদ্দিন কিচ্ছুক্ষন পর জ্ঞান ফিরলে অসুস্থ অবস্থায় দায়িত্ব পালন করেন,মোহাম্মদ জহির উদ্দিন ২০১৩ সালে নোয়াখালিতে আরেকটি ঘটনায় দায়িত্ব থাকা অবস্থায় ককটেল হামলার৷ ও শিকার হোন তিনি
দায়িত্ব পালন করার সময় বার বার হামলার শিকার ও নির্যাতিত হয়ে ও মোহাম্মদ জহির উদ্দিন এখনো নিজ পেশায় আপষহীন ও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন
২০১৬ সালে খাগড়াছড়ি এ এস টিসি থেকে প্রমোশন পেয়ে ওসি তদন্ত পদে যোগদান করেন চট্টগ্রাম জেলার নিজামপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনর্চাজ হিসাবে মোহাম্মদ জহির উদ্দিন
২০১৬ সালে চট্টগ্রাম মিরসরাই থানা এলাকায় জঙ্গি-দমনে সাহসিকতা ও সাহসী ভূমিকা রাখায় তৎকালীন সময়ে চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা মহোদয়ের হাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাহসিকতার পুরস্কার ও সনদপত্র অর্জন করেন মোহাম্মদ জহির উদ্দিন , ২০১৭ সালের শেষের দিকে ওসি তদন্ত হিসেবে চট্টগ্রাম হাটহাজারী থানায় যোগদান করেন, হাটহাজারী থানার ওসি তদন্ত থাকা অবস্থায় মোহাম্মদ জহির উদ্দিন স্বল্প সময়ের মধ্যে হাটহাজারি থানা এলাকায় জেটাতো ভাই ভাবি কৃর্তক চাচাতো বোনকে ছুরিঘাতে খুনের মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করে করে আসামি গ্রেফতার করে হাটহাজারি এলাকায় সুনাম অর্জন করেছেন এর পর ২০১৮ সালে চট্টগ্রাম লোহাগড়া থানা এলাকার ওসি তদন্ত হিসাবে যোগদান ও ২০২০ সালে চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশ ও ২০২১ নবেম্বরে চট্টগ্রাম মেট্রো গ্রাম পুলিশ সদর দপ্তরে সফলতার সাথে যোগদান করেন মোহাম্মদ জহির উদ্দিন

ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন ২০০৯ সালে ২০ জুলাই পারিবারিক ভাবে সামাজিক আয়োজনের মাধ্যমে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া এলাকার রহিমা আক্তার জুলিকে বিয়ে করে মোহাম্মদ জহির উদ্দিন তার সাংসারিক জীবন শরু করেন ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন বর্তমানে ৩ ছেলে সন্তানের জনক

হালিশহর থানার অফিসার ইনর্চাজ মোহাম্মদ জহির উদ্দিন ২০২৩ এর শরুতে আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতায় বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে টানা ৩ মাস চেষ্টা করে হালিশহর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৫ মামলার সাজা পাপ্ত আসামি কে গ্রেফতার করে সিএমপি তে আলোচিত হন ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন

পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ জহির উদ্দিন দৈনিক আলোকিত দেশ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎ কারে বলেন আমরা মানুষের অতন্ত্র প্রহরী আমাদের কাজ হচ্ছে দেশকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাদাঁবাজ, ইভটিজার মুক্ত করে মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনা। দ্বায়িত্ব পালনে আমার কোন নির্দিষ্ট সময় নেই, ২৪ ঘন্টাই আমি জনগনের সেবায় নিয়োজিত এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

হালিশহর থানার পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ জহির উদ্দিন আরো বলেন, এই থানায় কত দিন থাকবো তা জানি না তবে, আমার থানার দরজা জনগনের জন্য সবসময় খোলা। আমার মোবাইল নাম্বারটিও সবার জন্য উন্মুক্ত। আপনারা যেকোন সময় যেকোন বিষয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করুন। আমি পুলিশ কে নিয়ে জনমনে যে বিরূপ চিন্তা ধারা আছে তা পরিবর্তন করার লক্ষ উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। সকলের নিকট আমি দোয়া প্রত্যাশী
ওসি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন সকলের উদ্দেশ্যে বলেন -আপনারা পুলিশ কে নিজের বন্ধু ভাবুন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশ জনগণের শুধু বন্ধুই নয়, সেবকও।
আমরা পুলিশ সব সময়ই জনগণের বন্ধু হিসেবে জনগণের পাশে ছিলাম এবং আগামীতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ।
হালিশহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জহির উদ্দিন এর মতো কিছু পুলিশ সদস্যরা দেশ ও জনগনের সেবায় দিনরাত এক করে তাদের উপর অর্পিত দ্বায়িত্ব নিরলসভাবে পালন করে নিরবে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। পুলিশ জনতার, “জনতা পুলিশের” এই সেøাগানকে বায়েজিদ এলাকায় বাস্তবে রূপ দিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ জহির উদ্দিন । তিনি এখন এই এলাকার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ কর্মকর্তা। অধিকাংশ মানুষই তাকে গরিবের বন্ধু হিসাবে জানেন। তিনি তাঁর সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও তার বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব, রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান। তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তাই নন পাশাপাশি অনেক সামাজিক কর্মকান্ডে তিনি অবদান রেখেছেন।
পরিদর্শক (ওসি) মোহাম্মদ জহির উদ্দিন এর মতে- বর্তমান সরকার গণমানুষের বন্ধু, সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন মানুষের মুখেহাসি ফোটাতে, মানুষের সাথে মিলেমিশে তাদের সুখ দু:খ ভাগাভাগি করে নিতে।

এক মানবাধিকার নেতা বলেন ওসি পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তারমতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব। তার অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠা দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের নবাগত অফিসারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সমৃদ্ধ ও অপরাধমুক্ত বাংলাদেশের গড়ার স্বপ্ন দেখছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *