কুতুবদিয়ায় দিনদুপুরে ফিল্ম স্টাইলে ঘর দখলের চেষ্টা, ভুক্তভোগী পরিবারের শিশু ও নারীসহ আহত -৫
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- কুতুবদিয়া
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ফিল্ম স্টাইলে ঘর দখলে নিতে বাড়ির লোকজনকে মারধরসহ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে কুতুবদিয়া থানার উত্তর পাশে বায়তুশ শরফ কবরস্থান সংলগ্ন সরওয়ার সওদাগরের বাড়িতে পরিকল্পিত ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ভুক্তভোগী পরিবারের নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, পরিবারের বয়োবৃদ্ধা আনোয়ারা বেগম (৭২), সরওয়ার আলম (৫৫), সেলিনা আকতার(৪০), নুরুন্নাহার (৪৫) ও তাজওয়ার রহমান (১২)। আহতদের মধ্যে সরওয়ার আলমের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। এ বিষয়ে কুতুবদিয়া থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
এ দিকে এদিন সন্ধ্যায় দিনেদুপুরে বসতবাড়ী দখলে নিতে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সেলিনা আকতার জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে দুপুরের খাবার খেয়ে পরিবারের সদস্যরা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ সন্ত্রাসী মোরশেদ, মহিলা লেডি ফেন্সি ও হাবিবার নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একদল নারী সন্ত্রাসী দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালাতে থাকে। ঘটনার কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই সদস্যদের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এসময় পরিবারের বয়োবৃদ্ধা আনোয়ারা বেগমকেও বেদম প্রহার করে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রেহাই পায়নি অবুঝ শিশু ও। এসময সন্ত্রাসীরা লুটপাট চালিয়ে আলমিরায় রক্ষিত স্বর্ণ ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা আসবাবপত্রসহ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল নষ্ট করেছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী সেলিনা বেগমের ।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, জায়গাটি নিয়ে একটি বিরোধ চলছে কিছুদিন ধরে। কিছু দুষ্কৃতকারীর কারণে বিরোধ নিষ্পত্তি হচ্ছে না। আমাদের উপযুক্ত পাওনা ফেরত না দিতে দুষ্কৃতকারীরা এ পরিকল্পিত ঘটনাটি করেছে।
ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী নুরুল আমিন জানান, সন্ত্রাসীদের মধ্যে প্রায় সবাই নারী ছিল। কয়েকজন নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলছিল। এলাকাবাসি ঝগড়া থামাতে গেলে বুঝতে পারে এসব ভাড়াটে নারী সন্ত্রাসী। ঘটনার পর তারা কোথায় উধাও হয়ে যায়। এসব লেডি সন্ত্রাসীরা বাড়ির মালিক সরওয়ার আলম ও তার পরিবারকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাঈনুদ্দিন হাসান মিন্টু জানান, ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা কাউকে পরোয়া করছিল না। বাড়ির লোকজনকে এলোপাতাড়ি মেরে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া ছিল। পরে অতিরিক্ত মহিলা পুলিশ আসলে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাইহান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জানতে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন তিনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন আশ্বাস দেন।