কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরা নিষেধ !
হাফিজুর রহমান খান, স্টাফ রিপোর্টার:: মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি লক্ষ্যে আজ শুক্রবার (১৯ মে) মধ্যরাত থেকে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
এদিকে উপকূলীয় মহেশখালী, মগনামা, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার, টেকনাফ ঘাটে সমুদ্রগামী জেলেরা জাল, ট্রলার ও ফিশিংবোট নিয়ে সাগর থেকে নিজ নিজ ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে ।
মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়বেন হাজার-হাজার জেলে, অভাব-অনটন আর সংকটের মধ্য পড়বেন তাদের পরিবার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে দিন কাটাবেন সে চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন অনেক জেলে পরিবার।
কক্সবাজার মৎস্য অফিস জানায়, দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আইন, ২০২০ এর ধারা ৩-এর উপধারা ২-এর ক্ষমতাবলে এ নিষেধাজ্ঞার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গত ১৩ এপ্রিল এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ৬৫ দিন সামুদ্রিক জলসীমায় যেকোনও প্রজাতির মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয় সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ১৬ হাজার ৭২১ মেট্রিক টন ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মৎস আহরণ নিষিদ্ধকালে সরকারের মানবিক খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দেশের উপকূলীয় ১৪ টি জেলার ৬৬ টি উপজেলায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৯৫ জেলে পরিবারকে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিটি জেলে পরিবার প্রথম ধাপে (২০ মে থেকে ৩০ জুন) মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪২ দিনের জন্য মোট ৫৬ কেজি চাল পাবে।
ভিজিএফ চাল ১০ জুনের মধ্যে যথানিয়মে উত্তোলন এবং নিবন্ধিত জেলেদের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য মঞ্জুরি আদেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়।