আনোয়ারায় প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে নীরিহ মহিলার পাকা ঘর ভেঙ্গে দিল দুস্কৃতিকারীরা
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আনোয়ারা উপজেলায় প্রকাশ্যে দিন-দুপুরে এক নীরিহ মহিলার পাকা ঘর ভেঙ্গে দিল দুস্কৃতিকারীরা। গত রবিবার দুপুরে বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় স্তানীয় ইউপি সদস্য উপস্থিত থাকলেও তিনি দুস্কৃতিকারীদের বাধা দেননি। এসময় ভুক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা নম্বরে কল করলে আনোয়ারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুস্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী আব্দুস সবুর বাদী হয়ে মো. ইমন (৩৫), আব্দুস ছমদ(৭০),মঞ্জু বেগম (৬০), লাকি আকতার (২৬) ও মো. রুবেলের নামে আনোয়ারা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী আব্দুস সবুর দীর্ঘদিন ধরে তার বসত ভিটায় টিনের ও সেমিপাকা ঘর করে বসবাস করে আসছেন। প্রতিপক্ষগণ তার ভাই এবং ভাতিজা। তারা শোলকাটা হাসপাতাল এলাকায় থাকেন। তাদের প্রত্যেকের ভিটে আলাদা আলাদাভাবে পরিমাপ করে সীমানা ওয়াল দেওয়া আছে। সম্প্রতি ভুক্তভোগী মহিলা এনজিও থেকে লোন নিয়ে নিজের বসত ঘরের টিনের বেড়ার স্থলে পাকা দেয়াল নির্মাণ করে। দেয়ালের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর প্রতিপক্ষের লোকজন এসে দিন দুপুরে কুড়াল ও দা ছুরি নিয়ে দেয়ালটি ভেঙ্গে দেয়। এবং প্রকাশ্যে নীরিহ মহিলা ও তার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে ভুক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ কল দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে দুস্ক্রতিকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মহিলার স্বামী আব্দুস সবুর বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে এনজিও থেকে লোন নিয়ে আমাদের পুরাতন ঘরের সীমানায় পাকা দেয়াল তুলি। কিন্তু আমার ভাই ও তার ছেলে মেয়েরা এসে প্রকাশ্যে হাতুড়ি ও কুড়াল দিয়ে দেয়ালটা ভেঙ্গে ইটসহ সবকিছু নিয়ে যায়। এবং আমাদের বসত ঘরের ভাঙচুর চালায়। আমরা প্রশাসনের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কাশেম বলেন, ঘটনাটি আমি দেখেছি তবে হামলাকারীদের মারমুখী আচরণের কারণে তৎক্ষণাত কিছু বলতে পারিনি। ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দিয়েছে শুনেছি। থানায় কি হয়েছে সেটা আমি জানিনা।
এ ভ্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আনোয়ারা থানার এস আই জ্যোতিষ কুমার দে জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোসৃ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দুস্কৃতিকারীরা চলে যায়। তাদেরকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।