আনোয়ারায় কন্যাকে অক্সিজেন দিতে টাকা শেষ, বেসকারি হাসপাতালে গলাকাটা বিল
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিদিধি
আনোয়ারা:৯ মাসের কন্যর সন্তানের শ^াসকষ্ট নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে গলাকাটা বিল কান্ডে বিপাকে পড়েছেন এক ভুক্তভোগী। বিকেলে ভর্তির পর থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত অক্সিজেন সেবায় হাসপাতালের বিল গড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৪৫০ টাকা। শুধু তাই নয়, দায়িত্বরত চিকিৎসক, ভর্তি, নেবুলাইজার, সার্ভিস চার্জ, জেনারেল বেডের এসব মিলিয়ে বিল গড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৪০ টাকার।
এমনই এক কান্ড ঘটেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারার হলি হেলথ্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। রোগির পিতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন ও পরিচিতদের অনুরোধক্রমে সে বিল কমিয়ে কর্তৃপক্ষ ৫৫০০ টাকায় নামিয়ে আসেন। এতে উঠে আলোচনার ঝড়। এ হাসপাতালের রোগিদের গলাকাটা বিলসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগও করেছেন রোগির স্বজনরা।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগির পিতা মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘আমার ৯ মাসের কন্য সন্তানকে শুক্রবার (১০ জানুয়ারী) বিকেলে হলি হেলথ্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করায়। শ^াসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়ে বিল আসে প্রায় ৯ হাজার ৬৪০ টাকা। আর সন্তানকে ১২ ঘন্টা অক্সিজেন সেবা দিলেছিল তারা। সে অক্সিজেনের বিল ধরেছে ৩৪৫০ টাকা। এসব গলাকাটা বিলের প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন আত্মীয় স্বজন ও পরিচিতদের বিষয়টি জানায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটি ৫৫০০ টাকায় নামিয়ে আসেন। এক কথায় কন্যার অক্সিজেন দিতে আমার টাকা শেষ হয়ে যায়। এসব হাসপাতালে প্রশাসনের নজর না থাকায় রোগিরা এসে ভোগান্তিতে পড়েন।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে হলি হেলথ্ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিচালক আহমদ জলিল চৌধুরী বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘প্রতিঘন্টায় ১৫০ টাকা করে অক্সিজেন সেবার বিলসহ মিলিয়ে এ বিলটি কমিয়ে করা হয়েছে।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘অতিরিক্ত বিলের বিষয়টি যাচাই করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও আনোয়ারার অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।