প্রেমের ফাঁদে ফেলে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই রুবির পেশা
সাতকানিয়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
সম্পদশালী ব্যবসায়ী কিংবা সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলেদেরকে টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণের পর ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ে করে অথবা মামলা দিয়ে হয়রানি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় চট্টগ্রামের খাগরিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড নুর মার্কেট এলাকার পশ্চিম পাড়ার মোহাম্মদ ইসমাইল ও ছেনুয়ারা বেগমের মেয়ে রুবি আক্তারের প্রধান পেশা।
বিভিন্ন প্রকার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করার পর বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়। বিয়ে না করলে ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানি করা। বিয়ে করলে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়েরের হুমকি দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া রুবির নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।
ইতোমধ্যে রুবি আক্তার নামের ওই যুবতীর ফাঁদে পরে নিঃস্ব হয়েছেন একাধিক যুবক। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড নুর মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রুবি আক্তার নামের ওই যুবতীর ফাঁদে পরে বিভিন্ন ধরনের হয়রানীসহ মোটা অংকের টাকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পরা একাধিক যুবকরা এ অভিযোগ করেছেন।
ওই যুবতীর প্রতারণাসহ অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরেন একাধিক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। রুবির সকল অপকর্মে সহযোগিতা করেন তার আপন ভাই,মা ও কিছু কুচক্রী মহল। তাদের সহযোগীতায় একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছেন রুবি আক্তার। ভুক্তভোগীরা জানান, সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের নুর মার্কেট গ্রামের যুবতী রুবি ইতোমধ্যে প্রতারনার মাধ্যমে অনেক বিয়ে করেছেন। বিয়ের কিছুদিন পরেই সে (রুবি) মিথ্যে নির্যাতন, অত্যাচারের জন্য মামলা দায়েরের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াই তার ব্যবসা। রুবির প্রতারণা ফাঁদে পরে হয়রানির স্বীকার হয়েছেন চন্দনাইশ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়ার জামাল উদ্দিন চৌধুরী ও তার পরিবার।
২০০৮সালের ২১অক্টোবর রুবির সাথে জামাল উদ্দিন চৌধুরীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।কিছু দিন যেতে না যেতেই শুরু হয় রুবির বিয়ের আগের বিভিন্ন ছেলের সাথে অবাধ মেলামেশার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এর পর বিভিন্ন কলাকৌশল করে ফাঁদে ফেলে চন্দনাইশ উপজেলার বাইনজুরী এলাকার মোহাম্মদ আলী ও নুরুন্নাহারের ছেলে রিয়াজ উদ্দিনের সাথে গোপনে বিয়ে করার ডকুমেন্ট দেখিয়ে স্বামী দাবি করে মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।অবশেষে রিয়াজ বিয়ে মেনে নিতে বাধ্য হয়ে মামলা নিস্পত্তির কথা বলে নিসপ্তত্তি করেন। পরে রিয়াজের সাথেও বিয়ে স্থায়ী হয়নি।এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনকে মামলা দিয়ে হয়রানি করেই যাচ্ছে রুবি আক্তার। রুবির মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছেন আব্দুল মন্নান ,রিদুয়ান,ওসমান, মোহাম্মদ হোসেন,মঈন উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, রহিমা আক্তার, মোহাম্মদ আলী, হারুনর রশীদ, নাজিম উদ্দীন,মোহাম্মদ ইসহাক, সাদিয়া সোলতানা, আব্দুল মন্নান, মোহাম্মদ কায়সার উদ্দিন, শাহীন আক্তার প্রমুখ। এছাড়াও রুবি আক্তার সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, বান্দরবান ও চট্টগ্রাম আদালতসহ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে অসংখ্য জিড়ি ও মামলা করার অভিযোগও করেছে বলে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। একবাক্য রুবি অপ্রতিরোধ্য এক মুকুটবিহীন নারী সম্রাজ্ঞীর নাম।যার ভয়ে এলাকার সবাই অতিষ্ঠ। কোন কিছু হলেই নারী নির্যাতন মামলা করতে কুন্ঠাবোধ করেনা নারী সম্রাজ্ঞী রুবি।রুবি কলগার্ল হিসেবেও এলাকায় অনেকের কাছে পরিচিত।
এব্যাপারে রুবির কাছ জানতে চাইলে একাধিক বার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি
এব্যাপারে হয়রানির শিকার হওয়া মাইনু ও
নাজিম উদ্দীন বলেন রুবি নামের মহিলাটি দীর্ঘ দিন ধরে এধরনের প্রতারণা করে আসছেন। এবং ফোন আলাপে তিনি তা তুলে ধরেন।