পিতার লাশের সাথে ছেলেকেও পুড়ানোর হুমকি: জোরপূর্বক সম্পত্তি লিখে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
মো আরাফাত আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় পিতার লাশের সাথে ছেলেকেও সৎকারের হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক সম্পত্তি লিখে নেয়ার মত চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
এঘটনায় রবিবার (০৫ মার্চ) দুপুর ১২টাশ আনোয়ারা সদরস্থ একটি কার্যলয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগী দুলাল চন্দ্র দত্তের পরিবারের সদস্যরা।
এসময় লিখিত বক্তব্যে দুলাল চন্দ্র দত্তের পুত্র রঞ্জন কান্তি দত্ত বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি কৈনপুরা এলাকার বাসিন্দা প্রবীণ শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দত্ত চট্টগ্রাম নগরীর ছেলের বাসায় মৃত্যু বরণ করে। পরের দিন মরদেহ সৎকার করতে গ্রামের বাড়ীতে আনা হলে সৎকারে বাধা প্রয়োগ করে স্থানীয় ভূমি দস্যুরা। এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুলাল চন্দ্র দত্তের পুত্র রঞ্জন কান্তি দত্ত থেকে ষ্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর আদায় করে। পরবর্তীতে শিক্ষক দুলাল চন্দ্র দত্তের সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করে তারা। তিনি আরো বলেন, আমি গত ০১/০২/২০২৩ইং তারিখে স্বাক্ষরকৃত স্ট্যাম্পগুলো উদ্ধারের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (মহানগর) চট্টগ্রাম বরাবর মিচ মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং-১৩৮/২০২৩ইং (আনোয়ারা)। উল্লেখ্য যে, বিগত ০৩/০৮/২০০৮ইং তারিখে সহকারী জজ আনোয়ারা আদালত পটিয়ায় ৩৫৭৭নং দলিলে তপশীলভুক্ত আমার মৃত পিতা নামীয় ভূ-সম্পত্তিটির “স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে ঘোষণামূলক প্রতিকার” চেয়ে অশোক দত্ত বাদী হয়ে একটি মামলাও আজ পর্যন্ত চলমান রাখিয়াছে। যার মামলা নং-১৩১অপর/২০০৮ইং।এই ঘটনার অভিযুক্তরা হলেন মৃত দুলাল দত্তের সহোদর ও কাকাতো ভাই (১) পঞ্চানন দত্ত (২) বিশ্বরূপ দত্ত (৩) অশোক দত্ত (৪) সুরজিত দত্ত সৈকত (৫) পংকজ দত্ত (৬) সুশান্ত দত্ত (৭) প্রণতোষ দত্ত (৮) ভাস্কর দত্ত প্রমুখ
এসময় সংবাদ সম্মেলনে পরিবারটি ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে একজন ব্যক্তির মৃতদেহ নিয়ে এরূপ নেক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করে।
এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দীন চৌধুরী সোহেলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে কে বা কারা কিছুদিন আগে একটা বেনামি লিখা আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ একটা লেখা দিয়েছে। তবে বিষয়টি কেউ আমাকে অফিসিয়াল জানায়নি।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাসান জানান, “থানায় এখনোব্দি এই ধরনের কোনো অভিযোগ আসেনি”।