ধুনটে স্বামীর বাড়ি থেকে আসবাবপত্র ও নগদ অর্থ লুট হওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ হওয়ার পরেও প্রশাসন নিরব

ধুনটে স্বামীর বাড়ি থেকে আসবাবপত্র ও নগদ অর্থ লুট হওয়ার ঘটনায় থানায় অভিযোগ হওয়ার পরেও প্রশাসন নিরব

এস এম ফজলে রাব্বি শুভ ,ধুনট,বগুড়া –

বগুড়া ধুনটে দিনে দুপুরে সবার সামনে আসবাবপত্র সহ নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে গেছে স্ত্রী।ঘটনাটি মোঙ্গলবার সকালে উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের দাড়াকাটা গ্রামে ঘটেছিল। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ হলেও নিরব ভূমিকা পালন করছে ধুনট থানা প্রশাসন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় মৃত সালামত প্রাং এর ছেলে আল আমিন এর সাথে একই গ্রামের আরব আলীর কন্যা আসেফা খাতুনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।তাদের সংসার জীবনে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। আল আমিন পেশায় একজন অটো চালক,অটো চালিয়েই তাদের জীবিকা নির্বাহ চলে।গর্ভধারণী মা কে নিয়ে তাদের সংসার জীবন ভালো ভাবেই চলে আসছিলো।

এভাবে চলে আসার এক পর্যায়ে আল আমিন এর স্ত্রী তার স্বামীকে বলে তার মাকে আলাদা করে দিতে হবে।তিনি আরো বলেন তার মাকে আলাদা করে না দিলে সে বাপের বাড়ি চলে যাবে বলে হুমকি দেয়।তখন আল আমিন বিপদে পড়ে যায়,একদিকে অসহায় মা আবার অন্যদিকে স্ত্রী সন্তান।এমন কথা চিন্তা করে একপর্যায়ে আল আমিন রাজী হয়ে যায়।আল আমিন তার স্ত্রী কে অনুরোধ করে বলে রোজার মাস টুকু মা আমাদের সাথে থাকুক।কিন্তু এতেও স্ত্রী নারাজ।তখন দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়।দুইজনই যখন ক্ষিপ্ত হয়ে যায় তখন স্ত্রী আসেফা খাতুন সন্তানদের সাথে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায় এবং স্বামী আল আমিন অটো নিয়ে বাহিরে চলে যায়।

অন্যদিকে স্ত্রী বাপেরবাড়ি গিয়ে তার বাবা মা ও কিছু লোকজন সাথে নিয়ে আবার তার শশুর বাড়ি চলে আসে।এসে দেখে দরজায় তালা দেওয়া, তাতে কি হয়েছে স্ত্রী তালা না ভাঙতে পেরে ঘরের বেড়া কেটে ভিতরে ঢোকে।ঘরে ঢুকেই ভিতরে থাকা আসবাবপত্র,কাপড়,হাড়ি পাতিল সহ বিভিন্ন যন্রপাতি বের করেন তারা।শুধু তাই নয় ঘরে থাকা বাক্সের তালা ভেঙে ভিতরে রাখা নগদ অর্থ ও সোনা নিয়ে চলে যায়।

এদিকে এই খবর আল আমিন কে জানালে তিনি বাড়িতে চলে আসেন।এসে দেখেন ঘরের সব কিছু এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে।তখন আল আমিন হতভম্ব হয়ে যায়,কি করবে কিছুই বুঝতে পারছিলনা।অনেক ভেবে চিন্তে তিনি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে অবগত করলে তারা তাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী আল আমিন বলেন,বিষয়টি নিয়ে এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে অবগত করলে তারা আমাকে আইনের আশ্রয় নিতে বলে।তাই আমি থানায় একটা লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন স্ত্রী সন্তান তো আর বাদ দিতে পারবোনা।আসবাবপত্র ও ,সোনা নিয়েছে এতেও দুঃখ নাই কিন্তু আমার তিল তিল করে ঘাম ঝরানো জমানো ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকাও নিয়ে গেছে।এখন আমি নিঃস্ব।আমি এর সঠিক বিচার চাই এবং আমার টাকা গুলো ফেরত চাই।

এ বিষয়ে ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি তবে এ বিষয়ে একটু দেরিতে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।উক্ত বিষয়ে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *