এক বছরেও করা হয়নি সংযোগ সড়ক, কাজে আসছে না কোটি টাকার ব্রিজ

এক বছরেও করা হয়নি সংযোগ সড়ক, কাজে আসছে না কোটি টাকার ব্রিজ

(বিশেষ প্রতিনিধি)

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের পহঁরচান্দা আদর্শ গ্রাম রাস্তার সুখছড়ি খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজের দুই দিকে সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না। ফলে সরকারি প্রায় কোটি টাকা ব্যয় করা নির্মিত ব্রিজটি অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।

সূত্রে জানা যায়, দূর্যোগ ব্যাবস্হাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট কর্মসুচীর আওতায় এ ব্রীজটি নির্মিত হয়েছে ২০২১-২২ইং অর্থ বছরে। উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পহঁরচান্দা আদর্শ গ্রাম রাস্তার সুখছড়ি খালের উপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ব্রীজটির দৈর্ঘ্য ১৫ ফুট। এ ব্রীজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯ লক্ষ্য ৯৮ হাজার ০৯০ টাকা। ব্রিজটি প্রায় এক বছর আগে নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় এলাকাবাসীর কোন কাজেই আসছেনা। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক গ্রামের স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ হাজারো মানুষ। বর্তমানে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় ব্রিজের দুই দিকে কোন রকম কাঠের সাঁকো দিয়ে এপার-ওপর ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে যাচ্ছে স্থানীয়রা।

একাধিক এলাকাবাসী জানান, ব্রীজটি অপরিকল্পিত ভাবে ব্যাক্তি স্বার্থে নির্মাণ করার কারনে কোন উপকারেই আসছেনা। এত টাকা ব্যয় করে ব্রীজটি নির্মাণ করায় ব্রীজের দুই পাশে মাটি না থাকায় কোন যানবাহন চলতে পারে না। বরং ব্রীজটি এলাকাবাসীর গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি পথচারী পারাপারের সময় কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তারা আরও বলেন, এলাকাবাসীর ব্রিজের প্রয়োজন। কিন্তু এমন ব্রিজ কারো প্রয়োজন নয়, যে ব্রিজ কারো উপকারে আসছেনা। ঠিকাদারের লাভের জন্যই এমন অকেজো ব্রিজ নির্মাণ করে রেখেছে সরকারে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে। এতে দেশের সম্পদ নষ্ট হয়েছে। বর্তমানে ব্রিজটি কোন কাজে আসছে না।

স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মন্নান বলেন, গত দুইবার সেতুটির একপাশে সংযোগ সড়কে ব্যক্তিগত পক্ষথেকে টাকা খরচ করে কাঠের সাঁকো দিয়েছি। বর্তমানে ব্রিজের সংযোগ সড়কের বেহাল অবস্থা। দ্রুত সময়ে ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ সড়ক না করে তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্রিজটির ব্যাপারে টিকাদার সহ সবাইকে অবগত করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি বলেও জানান তিনি।

এদিকে টিকাদার দিপু কান্তি পাল বলেন, আগামী রমজানের আগে ব্রিজের দুই পাশে কাজ করে দিবে বলেও জানান তিনি।

এবিষয়ে উপজেলা বাস্তবায়ন প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম শাওন ভুঞা বলেন, টিকাদারকে বলা হয়েছে ব্রিজের কাজ শেষ করতে। যদি সময়ের ভিতর কাজ শেষ না করে তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইনামুল হাছান বলেন, খোঁজ নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে এবং রাস্তা নির্মাণ করে ব্রিজ চলাচলের উপযোগী করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *