- উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে জীবন বৃত্তান্ত জমা দিলেন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি পিন্চু
জমির উদ্দীন,লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
দীর্ঘ অনেক বছর পর লোহাগাড়া উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে। এতে সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে মাঠে নেমেছেন এক ঝাঁক নেতা। ইতিমধ্যে অনেক নেতা ব্যক্তিগত সিভি জমা দিয়েছেন দলীয় কার্যালয়ে ।
তারই ধারাবাহিকতাই গতকাল বিকেলে উপজেলা যুবলীগ নেতাকর্মী নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন ও আ না ম ফরহাদুল আলম হাতে নিজের জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন যুবলীগ নেতা মিকরাজ উদ্দিন পিন্চু ।
জানা যায়,মিকরাজ উদ্দীন পিন্চু জন্মগতভাবে আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান৷ তার পিতা হচ্ছে সাবেক ইউপি সদস্য মরহুম ফরিদ উদ্দিন ও মাতা সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য আসমা বেগম।তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছে।তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে লোহাগাড়ায় আওয়ামী রাজনীতির যেকোন প্রোগ্রামে তার অংশগ্রহণ রয়েছে বলে স্হানীয় অনেক নেতৃবৃন্দ।তিনি সাবেক সদর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি বর্তমানে উপজেলা যুবলীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
লোহাগাড়া উপজেলা যুবলীগ এর সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী পিন্চু বলেন৷ আমি আমার শৈশব থেকেই বাবা চাচাদের মুখে আওয়ামীলীগ এর জয়োধ্বনি শুনে বড় হয়েছি। স্কুল জীবনে জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয়েছি।ছাত্রলীগ পেরিয়ে যুবলীগের সাথে দীর্ঘদিন রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছি৷ বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ ঘোষিত সকল আন্দোলনে রাজপথে অগ্রভাগে থেকেছি। আমার জীবনের সাথে উৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে জীবনবাজি রেখে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি।
এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এই লোহাগাড়া শহরের যুবসমাজকে সাথে নিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ ও ভিশন ৪১ বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে চাই।
যুবলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আমার ত্যাগ, শ্রম ও অভিজ্ঞতা মূল্যায়ণ করবেন। পাশাপাশি আপনারা সর্বোচ্চ যাচাই বাছাই করে কে কখন রাজনীতিতে এসেছে দেখেন এবং প্রকৃত মুজিব সৈনিকদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
এক পর্যায়ে তিনি বলেন, লোহাগাড়া উপজেলা যুবলীগকে সুসংগঠিত করতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি।এজন্য আমি সকলের কাছে দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশী।
উল্লেখ্য-সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, এ পদ পেতে তদবির করছে অনেক নেতা।কেউ কেউ কাঙ্ক্ষিত পদ বাগিয়ে নিতে অনেক আগে থেকে নেতাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছেন একাধিক সূত্র দাবি করেছে।তবে যুবলীগের সাধারণ নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, দুর্দিনে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যারা সংগঠনের হাল ধরেছেন, জেল-জুলুম সহ্য করে সংগঠনের কার্যক্রম চালিয়ে নিয়ে গেছেন, যাদের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি আছে- তাদেরই নতুন নেতৃত্বে আসা উচিত।
এদিকে কারো তদবিরে কমিটি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রকৃত ত্যাগীরাই কমিটিতে আসবেন বলে জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।