আলীকদমে বিদায়ী জোন কমান্ডার এবং নাবগত জোন কমান্ডারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
বেলাল আহমদ,নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাষ্ট্রীয় নির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিনিয়ত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অপারেশন উত্তরণের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের বিভিন্ন রিজিয়নের অধীনে থেকে জোনসমূহ তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আলীকদম জোন কমান্ডারের বিদায় এবং নবাগত জোন কমান্ডারের আগম উপলক্ষে আলীকদম উপজেলা পরিষদ হল রুমে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেঃ কর্নেল মোঃ সাব্বির হাসান, পিএসসি (জোন কমান্ডার, আলীকদম জোন), লেঃ কর্নেল মোঃ শওকাতুল মোনায়েম, পিএসসি (নবাগত জোন কমান্ডার) এছাড়াও মোঃ আবুল কালাম (উপজেলা চেয়ারম্যান, আলীকদম উপজেলা) জাবের মোঃ সোয়াইব (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আলীকদম), দুংড়ি মং মার্মা (সদস্য জেলা পরিষদ, বান্দরবান), মোঃ আব্দুল মান্নান (বীর মুক্তিযোদ্ধা), মোঃ জুলফিকার রহমান (রেঞ্জ কর্মকর্তা, আলীকদম উপজেলা) আরিফুল্লাহ নিজামী (এসিল্যান্ড, আলীকদম উপজেলা) কফিফ উদ্দিন (ভাইস-চেয়ারম্যান, আলীকদম উপজেলা), শিরিনা আক্তার রোকসানা (মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান, আলীকদম উপজেলা) মোঃ নাছির উদ্দিন (চেয়ারম্যান, ১নং আলীকদম সদর ইউনিয়ন পরিষদ) সহ স্থানীয় অনান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ৪০-৫০ জন উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জোন কমান্ডার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসবাদ নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণের ভূমিকা প্রসংশনীয়। আমি আপনাদের সহোযোগিতায় যেভাবে অত্র জোনের আওতাধীন সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেছি, ঠিক তেমনি নবাগত জোন কমান্ডারকে সকল কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সাহায্য করবেন। আলীকদম সেনা জোন দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সকলের মধ্যে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে কাজ করলেও কিছু কিছু আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এর বিরোধিতা করে আসছে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্থরের জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আসছে আলীকদম সেনা জোন। বাঙ্গালী এবং অন্যান্য সকল সম্প্রদায়ের জনগণ যেন একযোগে এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় তার জন্য আমি সকলকে আহবান করছি। সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আপনাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংগঠিত হলে বা সংগঠিত হওয়ার পূর্বাভাস পেলে সাথে সাথে সেনা জোনকে অবহিত করবেন। সেনা জোন তাদের প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি আরোও বলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল স্তরের জনগণের আপদকালীন সময় ছাড়াও ধর্মীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে সবসময় সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে আসছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে। পাশে থেকে যে কোন প্রয়োজনে সর্বদা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বলে জোন কমান্ডার আলীকদম জোন উল্লেখ করেন।